Breakingআন্তর্জাতিকখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

জেআরসির প্রতিনিধি দলের ফেনী নদী থেকে পানি উত্তোলনের স্থান পরিদর্শন

স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি:
জেলার রামগড়ে ফেনী নদী হতে পানি তোলার প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) যৌথ প্রতিনিধি দল।

 

১২ জুন ২০২৩ সোমবার সকালে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল মৈত্রী সেতুর নিম্নাঞ্চলে ২২১৫/২ পিলার সংলগ্ন এলাকায় ফেনী নদীতে ভারতের প্রস্তাবিত ১.৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের জন্য ইনটেক ওয়েল এর প্রস্তাবিত স্থান চুড়ান্ত করতে যৌথভাবে পরিদর্শন করে প্রস্তাবিত প্রকল্প স্থলে নদীর তীরে দীর্ঘ বৈঠক করে দুই দেশের প্রতিনিধি দল।

 

প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলী চট্টগ্রাম এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্থগীর এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ জেলার জেলা শাসক সাজু ওয়াহিদ।

 

প্রতিনিধি দলের সদস্য ও রামগড় উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতা আফরিন জানান, সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর মাঝখানে ইনটেক ওয়েলে বা কূপ খনন করে পাইপের মাধ্যমে সমঝোতার ১.৮২ কিউসেক পানি উত্তোলন করবে ভারত। পরিদর্শন ও দীর্ঘ আলোচনায় ভারতের প্রস্তাবিত স্থানের ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রকৌশলগত দ্বিমত থাকায় ফেনী নদীর মাঝখানে ইনটেক ওয়েলে বা কূপ খননের স্থান চুড়ান্ত হয়নি। যা পরবর্তীতে দু’দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমোঝোতা করে প্রকল্প স্থান চুড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

 

এ সময় বাংলাদেশের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলে যারা ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. জীবন কুমার সরকার, প্রকল্প পরিচালক (সীমান্ত নদী তীর সংরক্ষন ও উন্নয়ন প্রকল্প- ২য় পর্যায়) নব কুমার চৌধুরী, তত্বাবধয়ক প্রকৌশলী চট্টগ্রাম পওর সার্কেল খ. ম জুলফিকার তারেক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সচিব (উন্নয়ন-শাখা ১) যতন মারমা, রামগড় ৪৩ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: আবু বকর সিদ্দিক সাইমুন, যৌথ নদী কমিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার কাদির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব দক্ষিন এশিয়া- ১ সুবর্ণা শামিম সহ প্রমুখ।

 

অন্যদিকে ভারতীয় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে, ত্রিপুরা সরকারের প্রধান প্রকৌশলী গনপূর্ত (পানি সম্পদ) শ্যামল ভৌমিক, কমান্ডিং অফিসার ৯৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ অধিনায়ক শ্রী কৃষ্ণ কুমার লাল সহ প্রমুখ।

 

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুম শহরে খাবার পানির সংকট মেটাতে ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের সিদ্বান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষে সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১৪ জুন যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) যৌথ প্রতিনিধি দল প্রকল্প স্থানটি পরিদর্শন করে মত বিনিময় সভা করেছিলেন।

Related Articles

Back to top button