চট্টগ্রামে রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগি ; গ্রামেও ছড়িয়েছে ডেঙ্গু
চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক স্কুল ছাত্র মারা গেছে। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। জুলাই মাসে শনিবার পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ তথ্য যানা যায়।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৪৩ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে , যা একদিনে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের ক্ষেত্রে রেকর্ড। ডেঙ্গুর ভয়াবহ এই পরিস্থিতির মধ্যেই সরকার স্কুল গুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করায় আতংকে আছেন অভিভাবকরা। কারন অধিকাংশ স্কুলেই মশা নিধনের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ অবস্থার মধ্যে শিক্ষার্থীরা স্কুলে গেলে সেখান থেকে যে তারা আক্রান্ত হবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। নগরীতে এখন প্রায় প্রতিটি পরিবারেই কম বেশি জ্বরের রোগি আছে। হাসপাতাল-ক্লিনিক ও চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারেও ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন।
২২ জুলাই ২০২৩ , শনিবার বিকেলে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯২ জন সরকারি ও ৫১ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ৩৪ জন, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ১০ জন এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৫ জন ভর্তি হয়েছেন। গত ৯ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে একদিনে ১১১ জন এবং ১৯ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে ১১৮ জন আক্রান্তের তথ্য দেয়া হয়েছিল।
চলতি বছরের শুরু থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট ১৯২৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত দের মধ্যে ২৩৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছে মোট ২২ জন। এদের মধ্যে ৯ শিশু, ২ কিশোর, ৬ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী আছেন। শুধুমাত্র জুলাই মাসের ২১ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৫৮ জন। এছাড়া জানুয়ারিতে ৭৭ জন, ফেব্রæয়ারিতে ২২ জন, মার্চে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে মাসে ৫৩ জন এবং জুন মাসে ২৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের পাশাপাশি জুলাইয়ে রেকর্ড পরিমাণ মৃত্যুও হয়েছে। ২২ জনের মধ্যে ১৩ জনই মারা গেছে গত ২১ দিনে। জানুয়ারিতে ৩ জন এবং জুন মাসে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০২০ সালে চট্টগ্রামে ১৭ জন, ২০২১ সালে ২৭১ জন এবং ২০২২ সালে ৫ হাজার ৪৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। ২০২২ সালে ৪১ জন এবং ২০২১ সালে ৫ জন মারা গিয়েছিল।