গর্জনিয়ায় দৃষ্টিহীন শিশুর চিকিৎসার উদ্যোগ নিলেন ছাত্রলীগ নেতা হাফিজ
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান ) ::
কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ক্যাজরবিল গ্রামের তিন বছর বয়সী শিশু হুরে জান্নাত ইসফা। জন্মের এক বছর পর থেকে সে হারিয়ে ফেলে দুই চোঁখের দৃষ্টিশক্তি। একারণে ইসফার মতো পরিবারের সদস্যদের মাঝে সুন্দর এই দুনিয়া ঘোর অন্ধকারে পরিণত হয় তার কাছে।
জানা গেছে-ইসফার দরিদ্র বাবা মোহাম্মদ আতাউল্লাহ অনেক চেষ্টা করেও মেয়ের দুচোঁখের আলো ফেরাতে ৩০-৪০ হাজার অর্থ জোগাড় করতে পারেনি। সেই খবর গর্জনিয়ার তরুণ রাজনীতিবিদ ও ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীর কানে পৌঁছালে তিনি তাঁদের ঘরে ছুটে যান। দায়িত্ব নেন ইসফার দুচোখের আলো ফেরাতে। চোঁখের অপারেশনের পরও ভবিষ্যতে ইসফা যেন মানুষের মত মানুষ হতে পারেন সেই দায়িত্বভারও নেন ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী।
ইসফার দরিদ্র বাবা মোহাম্মদ আতাউল্লাহ জানিয়েছেন- জন্মের এক বছর পর থেকে দুচোঁখের দৃষ্টিশক্তি হারায় ইসফা। এ নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে নেমে আসে হতাশা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন-অপারেশনের মাধ্যমে ইসফাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন হবে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু তার মতো হতদরিদ্র পিতার পক্ষে এ অর্থ জোগান দেয়া কিছুতেই সম্ভব ছিলো না। তবে ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম বাড়িতে এসে তার মেয়ের চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন। এমনকি তাকে দ্রুত অপারেশনের প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন। এ কারণে আতাউল্লাহর পরিবারে এখন হতাশার পরিবর্তে ফিরেছে স্বস্তির আমেজ।
ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন- ইসফার খবর শুনেই তিনি ছুটে যান। কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন মানবতার মা। কক্সবাজার ৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মানবিক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ইসফার দুচোঁখের আলো ফেরানোর পাশাপাশি ভবিষ্যত দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন।