খাগড়াছড়িতে পুলিশের মামলায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আটক; বিএনপি-র সংবাদ সম্মেলন

চেঙ্গী দর্পন , স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি :
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের শান্তি-উন্নয়ন শোভাযাত্রা এবং বিএনপির একদফা পদযাত্রা কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ১৮ জুলাই সংঘটিত সংঘর্ষে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে বিএনপির ছয় শতাধীক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
১৯ জুলাই ২০২৩ বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচী চলাকালীন পুলিশের ওপর হামলা এবং কর্তব্য কাজে বাঁধা প্রদান করা হয়। এ সময় একজন এসআই সহ পুলিশের ৪ জন সদস্য গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় সদর থানার এসআই মিনহাজ উর রহমান বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় বিএনপির ১৫৭ জনের নাম জ্ঞাত এবং আরো অন্তত ৬০০/৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত এবং পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।
বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা বা অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান ।
এদিকে ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সংঘর্ষের পরবর্তী সময়ে খাগড়াছড়ি জেলা সদর সহ বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মী এবং তাদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলা চালানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি।
১৯ জুলাই ২০২৩ বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, খাগড়াছড়ির জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ওয়াদুদ ভূঁইয়া। লিখিত বক্তব্যে মঙ্গলবার সংঘটিত ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি পৌরসভা ভাংচুরের সাথে বিএনপি কোনোভাবে জরিত নয়। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। পৌরসভা এবং কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জ্বালিয়ে দেয়া মোটর সাইকেল গুলো বিএনপি নেতাকর্মীদের আওয়ামীলীগই পৌরসভা ভাংচুর এবং মোটর সাইকেল জ্বালিয়ে দিয়ে শহরে দোকানপাট ভাংচুর করে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে খাগড়াছড়িতে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী দেয়ার হুশিয়ারি দেন ওয়াদুদ ভূঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম. এ আবসার, অনিমেষ দেওয়ান রিংকু এবং আব্দুর রউফ রাজা এবং জেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।