চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক , নোয়াখালী :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি সহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কাদের মির্জার বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা ও অশোভনীয় আচরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার সকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নোয়াখালী সদর উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ এবং জেলার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অতি সম্প্রতি সময়ে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপিসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা ও অশোভনীয় বক্তব্য দিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, কাদের মির্জার বক্তব্য দেখলে মনে হয়, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে নয় বরং তিনি বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামায়াত জোট সমর্থিত কতিপয় রাজনৈতিক দলের ভোটে।
পিন্টু বলেন, কাদের মির্জা মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগে কখনো আওয়ামী লীগ বা দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরই তিনি আমাদের নেতা নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, তাঁর পরিবারের সদস্যসহ জেলা পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা ও অশোভনীয় বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তার এই অশোভনীয় আচরণ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাদ পড়েননি।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বলেন, দলের শ্রদ্ধাভাজন নেতাদের সম্পর্কে স্বয়ং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো কখনো যা বলতে সাহস করেনি, অথচ কাদের মির্জা, ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের সদস্য হয়ে বিরোধী দলের মুখপাত্রের ন্যায় বলে বেড়াচ্ছেন, যা অত্যন্ত দুঃখ ও বেদনাদায়ক। তিনি পাগলের মতো এত কিছু বলার পেছনে কোনো স্বার্থ লুকিয়ে আছে কি না, তা দৃষ্টি অগোচরে।
কাদের মির্জা সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন, যা দলের গঠনতন্ত্রের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তিনি ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ড ও জেলা আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল পর্যায়ের মতামত উপেক্ষা করে নিজেই কোম্পানীগঞ্জের আটটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন কোন ক্ষমতা বলে? এসব অবৈধ, এসব কি অপরাজনীতি নয় ? অবিলম্বে আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান নাছের, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট, যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নোয়াখালীর সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন কৈশোর, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খালেদ মোশাররফ হোসেন রাজু, সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।