চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, আখাউড়া , ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
কনে সেজে ঘরে বসে আছে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী নাদিয়া আক্তার। এরই মধ্যে কনের বাড়িতে আত্মীয় স্বজনরা ও মেহমানরা এসে উপস্থিত। চলছে তাদের খানা পিনা। এদিকে বরও সেজে গুজে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে রওয়ানা দিয়ে কাছাকাছি এসে পৌঁছান। বিয়ে পড়াতে কনের বাড়িতে অপেক্ষা করছেন কাজীও। এ সময় খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী কনের বাড়িতে এসে হাজির। ম্যাজিস্ট্রেট দেখা মাত্র দৌড়ে আত্মীয়-স্বজনরা কনেকে একা ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যে বিয়ে বাড়ি ফাঁকা হয়ে যায়।এই খবর শুনে বিয়ে বাড়িতে আসেনি বর সহ বরযাত্রীরা। তারা পথ থেকেই ফিরে যায়।এ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ষৌন লোহ ঘর গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তুলাইশিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী ও ষৌন লোহঘর গ্রামের প্রবাসী মাসুম তালুকদারের মেয়ে নাদিয়া আক্তার (১৫)। পারিবারিক ভাবে কুমিল্লায় তার বিয়ে ঠিক হয়। বর কনের বাড়িতে আসার আগেই খবর পেয়ে উপস্থিত হয়ে এ বিয়ে ভেঙে দিলেন এসিল্যান্ড।
আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, যেহেতু কনের বয়স ১৫ বছর তাই এই বিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে। কনের মা স্বপ্না খানম মুচলেকা দিয়েছেন প্রাপ্ত বয়স হওয়ার আগে তার মেয়ের বিয়ে দিবেন না।