Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলরাজনীতিসারাদেশ

ইউপিডিএফ ( প্রসিত) নেতা বিপুল সহ চার নেতার স্মরনে স্মরন সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি ,খাগড়াছড়ি :
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ইউপিডিএফ (প্রসিত) নেতা বিপুল সহ চার নেতার স্মরনে স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

২০ ডিসেম্বর ’২৩ বুধবার সকালে ইউপিডিএফ (প্রসিত)এর কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমার সভাপতিত্বে পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পাহাড়ী এলাকা জগপাড়ায় এ স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল চট্টগ্রামের সভাপতি ভুলন লাল ভৌমিক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ৯ টায় নিহত ইউপিডিএফ ৪ নেতার দাহ ক্রিয়া সম্পন্ন স্থানে ধর্মীয় কার্যাদি শেষ করে করে ১০ টায় অনুষ্ঠানের শুরুতে দলীয় পতাকা উত্তোলন, এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমার নেতৃত্বে দলের পক্ষে থেকে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর সমতল থেকে আসা জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল , প্রগতিশীল ছাত্র যুব সংগঠন , ছাত্র ফোডারেশন , সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ) ,গনতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

 

অনুষ্ঠানে উপজেলা সংগঠক সুমেন চাকমার সঞ্চালনায় ইউপিডিএফ ও তাদের সহযোগী সংগঠন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, ছাত্র যুব আন্দোলন,ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

 

শোক সভা থেকে -শহীদের রক্ত স্নানে পানছড়ি হবে দালাল মুক্ত। সরকারপন্থী চর, গণশত্রু ও খুনীদের হঠানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে হত্যার বদলা নেয়ার ঘোষনা দেয়া।

এছাড়াও স্ব স্ব পাড়া-গ্রাম, স্কুল-কলেজ, ক্লাব-সংস্থায় পাহাড়ের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ নতুন কর্মসুচি ঘোষনা করা হয় কর্মসূচির মধ্যে – ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ এর সকালের মধ্যে দেওয়ানপাড়া তেঁতুলতলা সহ সেনা-বিজিবি আশ্রয় প্রশ্রয়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়া দালালদের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নিকট আত্মসমর্পণের সময় সীমা বেঁধে দেয়া হয়। ২০২৪ বর্ষের শুরুতে পানছড়ির পাড়া-গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে “ শহীদের রক্তস্নানে পানছড়ি দালাল মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে “ লেখা ফেস্টুন টাঙানো।পাড়ায় প্রবেশ পথে “এই পাড়ায় দালাল-বেঈমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ” লেখা ফেস্টুন টাঙ্গানো। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ,সামাজিক অনুষ্ঠানে , মোটর সাইকেল চালক,অটো চালকগন এবং পাহাড়ের জুম্ম জনগন যেন সন্তু লারমার অনুসারীরা সহ ,দীপংকর তালুকদার , কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বীর বাহাদুর কে জাতীয় বেঈমান ঘোষণা করে তাদের এবং তাদের অনুসারীদের বয়কট করে সে ধরনের নির্দশনা দেওয়া হয়।

 

সবশেষে দুপুরে সাপ্তাহিক ক্রিয়ানুষ্ঠানের বিভিন্ন এলাকার ৩ হাজার (প্রায়) মানুষের খাবারের মধ্য দিয়ে শোক ও স্মরণ সভার সমাপ্তি ঘটে।

Related Articles

Back to top button