Breakingপার্বত্য অঞ্চলবান্দরবানসারাদেশ

আলীকদম মুরুং প্রতিনিধিদের সাথে জোন অধিনায়কের মত বিনিময়

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,আলীকদম, বান্দরবান  :
বান্দরবানের আলীকদমে সেনা জোন (৩১বীর) এর আয়োজনে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সু-দৃঢ় রেখে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার লক্ষে উপজেলার প্রান্তিক জনপদে বসবাস রত মুরুং সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন (৩১বীর) আলীকদম সেনাজোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সাব্বির হাসান পিএসসি।

 

২১সেপ্টেম্বর ২০২৩ , বৃহস্পতিবার সকালে (৩১বীর)সেনা জোন ক্যান্টিন সংলগ্ন কনফারেন্স হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আলীকদম সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ শওকাতুল মোনায়েম পিএসসি ও মেজর আজিজুল হাকিম প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন ।

 

মুরুং সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় কালে জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সাব্বির হাসান পিএসসি বলেন, বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে যে মায়ানমার থেকে অবৈধ ভাবে গরু পাচার,মাদক ইয়াবা,বিদেশী মদ,গাঁজা ও সিগারেট সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসছে। এতে অত্র অঞ্চলের যুব সমাজ অর্থের লোভে বশীভূত হয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কাজে। যা দেশের যুব সমাজকে বিপথগামী করে দিচ্ছে। এতে সমাজের শিষ্টাচার এবং পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হচ্ছে সাথে অপহরণের ঘটনা ঘটছে। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছে উপজেলার সাধারণ মানুষ। জোনের আওতাধীন দূর্গম অঞ্চলে অসহায় হত দরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উপজাতীয় মুরুং সম্প্রদায়ের জনসাধারণকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এবং পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার নির্মিত্তে ভবিষ্যতে বাংলাদেশসেনা বাহিনীর কল্যাণ মূলক কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানান জোন কমান্ডার। তিনি সবাইকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার জন্য দিক নির্দেশনা প্রদান করে।

 

পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার লক্ষে মুরুং সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও এলাকার কোথাও কোন ধরনের চোরাকারবারি অথবা মাদক দ্রব্যের অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা দেখলে যেন সেনাজোনকে অবহিত করা হয় এই বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।এসময় মুরং প্রতিনিধিরা বিভিন্ন এলাকায় চলমান কার্যক্রমের বিবরণ উপস্থাপন করেন ও অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।

 

জোন কমান্ডারে সাথে মুরুং সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের মতবিনিময়ের সময় তারা অভিযোগ করে বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইউএনডিপি পরিচালিত প্রাইমারি স্কুল গুলো বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির সহযোগিতায় আলীকদম উপজেলায় ২০ টি প্রাইমারি ইউএনডিপি স্কুল জাতীয়করণ করা হয়। এই ইউএনডিপির স্কুলগুলোর শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে মাসের পর মাস বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। জাতীয়করণকৃত স্কুলের শিক্ষকরা যদি দূর্গম এলাকায় নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করেন তাহলে দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে বলে জানান তারা।

 

৪নং কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রাত পুং ম্রো বলেন,সদ্য জাতীয়করণ ইউএনডিপির স্কুল গুলোর শিক্ষকরা বিশেষ করে দূর্গম কুরুকপাতা ইউনিয়নের ৪.৫.৬. ও ৭.৮.৯ নং ওয়ার্ডের বিদ্যালয় গুলোতে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করেন না। তারা কাগজ কলমে অফিস টিক রেখে প্রতিমাসে বেতন ভাতা উত্তোলন করে নিচ্ছেন কিন্তু আমাদের সন্তানরা সঠিক শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান।

 

 

তিনি আরও বলেন,স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা সচেতন না হওয়ার কারণে জাতীয়করণকৃত ইউএনডিপির স্কুলের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে নিয়মিত মাসিক বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন।

 

অনুষ্ঠানের পর মুরুং সম্প্রদায়ের ৬০(ষাট) জন প্রতিনিধির মধ্যে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন জোন কমান্ডার সাব্বির হাসান পিএসসি। শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে প্রতি জনকে চিনি, আটা, চা পাতা এবং লবণ প্রদান করা হয়।

Related Articles

Back to top button