আওয়ামীলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ : বিক্ষোভ মিছিল-প্রতিবাদ সমাবেশ
মিরসরাই , চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
মিরসরাইয়ে শনিবার আওয়ামী লীগ-যুবলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার বাদী হয়ে শনিবার রাতে মিরসরাই থানায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
১৮ জুন’২০২৩, রোববার দুপুরে যুবলীগ নেতা আসিফুর রহমান শাহীন বাদী হয়ে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টারকে প্রধান আসামী করে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় রোববার (১৮ জুন) বিকেলে মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল-প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির নেতৃত্বে মির সরাইয়ের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম প্রচারের জন্য আমরাই যথেষ্ট। এখানে রাজনীতি করতে হলে দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে করতে হবে। যুবলীগ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন। সম্প্রতি যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্যের নাম দিয়ে মিরসরাইতে এলিট অপরাজনীতির চেষ্টা করছে। তার নেতৃত্বে শনিবার বিকেলে উপজেলার মিয়াপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ও মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার সহ ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ৫-৬ জন ছাত্রলীগের কর্মী আহত হয়েছে। কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এলিট প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর গুলি ছুঁড়ে। আগামীতে এলিট মিরসরাইয়ে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার বাইরে যেখানে কর্মসূচী করতে যাবে সেখানে তাকে প্রতিহত করা হবে। তাকে প্রাণ নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। মিরসরাইয়ের রাজনীতিতে এলিটকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো। এলিটকে প্রতিহত করার জন্য উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীকে তিনি নির্দেশ দেন।
মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফায়েল উল্ল্যা চৌধুরী নাজমুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক নাছির উদ্দিন মিলনের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, মিরসরাই পৌরসভা মেয়র গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, করেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাষ্টার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাইনুর ইসলাম রানা, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানা প্রমুখ। সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, শনিবার বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট সহ এজহার নামীয় আরো ১১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া যুবলীগ নেতা আসিফুর রহমান শাহীন বাদী হয়ে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার সহ ১২জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।