স্টাফ রিপোর্টার ,মানিকগঞ্জ :
পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে সাত দিন যাবৎ পদ্মায় ডুবে থাকা রজনীগন্ধা ফেরির একাংশ প্রত্যয়ের মাধ্যমে পানির ওপরে ভেসে উঠেছে।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ মঙ্গলবার উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের সাহায্যে রজনীগন্ধা ফেরির একাংশ ওপরে টেনে তোলা হয় এবং আরো একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
ডুবুরিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফেরিটি নদীর প্রায় ৫০ ফুট গভীরে রয়েছে। গত কয়েকদিনে অত্যাধিক পলি জমে ফেরির ওজন অনেক গুন বেড়ে গেছে। উদ্ধার জাহাজ ‘রুস্তম’ ও ‘হামজা’র ওজন তোলার ক্ষমতা রয়েছে ৮০ টন। অপর জাহাজ প্রত্যয়ের ক্ষমতা রয়েছে ২৫০ টন। এ তিন জাহাজের সমন্বয়ে নিমজ্জিত ফেরি টেনে তোলার জন্য কৌশলগত দিক নির্ণয় ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। এদিকে ধীরগতিতে উদ্ধার কাজ চালানোর ফলে ডুবে থাকা ফেরি তোলার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছিল।
ফেরি সংস্থা বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক খালেদ নেওয়াজ জানান, গত ১৭ জানুয়ারি ঘন কুয়াশায় নোঙর করা ফেরি ৯টি ট্রাক নিয়ে ডুবে যায়। সাত দিন চেষ্টা চালিয়ে উদ্ধার জাহাজ রুস্তম, হামজা, প্রত্যয় ও সার্ভে বোট ঝিনাই-১ সমন্বয়ে ফায়ার সার্ভিস, নৌ বাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশ এ নিয়ে ৭ টি ট্রাক উদ্ধার করে। বিকেলে উদ্ধার জাহাজ প্রত্যয় ডুবে থাকা ফেরির একাংশ টেনে তোলে। কৌশলগত কারণে বাকি অংশ পরে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া, ফেরির নিখোঁজ দ্বিতীয় চালক হুমায়ুন কবিরের লাশ উদ্ধার হলে মঙ্গলবার পিরোজপুরের নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রবল স্রোত ও তীব্র শীতের কারণে উদ্ধার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। উদ্ধার জাহাজের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ফেরি উদ্ধারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে বাকি ট্রাক দুটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। ফেরি উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এয়ার লিফটিং ব্যাগ ও হোস পাইপ দিয়ে পলি অপসারণ ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমন্বিত চেষ্টায় ডুবে থাকা ফেরির একাংশ টেনে তোলা হয়।