Breakingচট্টগ্রাম অঞ্চলপর্যটনসারাদেশ

পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল

আনােয়ারা , চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
নতুন বছরে পরিবার-পরিজন নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের কাছে অবস্থিত আনোয়ারার পারকি সৈকতে বেড়াতে এসেছেন প্রচুর পর্যটক। রাস্তা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও ঝাউবন ঘেরা এই সৈকতে পর্যটকদের ঢল দেখা গেছে ।

 

লুসাই পার্কের পরিচালক এম.এ কাইয়ূম শাহ্ জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও পর্যটকদের ভিড় মুখরিত পারকি সৈকত। নিরাপত্তা জোরদারে রয়েছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সৈকতে সমবেত হয়েছে হাজারো পর্যটক। পারকিতে বেড়াতে এসে পর্যটকেরা নিজেদের সাধ্য েমতো আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করেছেন। সমুদ্র স্নানের পাশাপাশি পর্যটকদের অনেকেই বিচ বাইক ও ঘোড়ায় চড়ছেন। কেউ কেউ আবার আনন্দময় মুহূর্ত তুলে রেখেছেন পারকির ভ্রাম্যমাণ আলোকচিত্রী ক্যামেরায়। আবার সৈকতে পেতে রাখা ছাতার নিচ থেকে অনেক পর্যটক বালিয়াড়ির সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন।

পারকি সৈকতের আশপাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন রিসোর্টেও পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। পারকি সৈকতের পাশে গড়ে উঠেছে লুসাই পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট এবং সি ওয়ার্ল্ড নামের দুটি বিনোদন কেন্দ্র। এসব বিনোদন কেন্দ্রে খাওয়া দাওয়া ছাড়াও নৌ-ভ্রমণ ও শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা আছে।

 

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায় , আনোয়ারা উপকূলকে রক্ষা করার ১৯৯৩-৯৪ এবং ২০০২ সালে পারকি সৈকতের ৮০হেক্টর জায়গায় ঝাউ বাগান সৃজন করে বন বিভাগ। গাছগুলো বড় হওয়ার পর পাল্টে যায় পারকি সৈকতের সৌন্দর্য। পর্যটকদের প্রিয় হয়ে ওঠে এই সৈকত।

 

চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা পর্যটক সজীব জানায়,শহর থেকে ঘণ্টা খানেকের দূরত্বে অবস্থিত বলে পারকিতে আসি। এখানকার সৈকত পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

স্থানীয় বারশত ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, পারকি সৈকত দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পর্যটকের আগমনও বাড়ছে। এবার নতুন বছর উপলক্ষে প্রচুর পর্যটক এসেছেন। তবে শুক্র-শনিবারই বেশি পর্যটক আসেন পারকি সৈকতে। পর্যটকদের বিনোদনের সব ব্যবস্থা আমরা করেছি।

 

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী  অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, পারকী সমুদ্র সৈকত একটি চমৎকার পর্যটন স্পট। পর্যটন কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শেষ হলে আধুনিক মানের সৈকতে রূপ নেবে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা আছে।

Related Articles

Back to top button