Breakingপার্বত্য অঞ্চলরাঙ্গামাটিসারাদেশ

কাপ্তাইয়ের কৃষক বাচ্চুর বাগানে কালিপুরি ও চায়না লিচুর বাম্পার ফলন

আত্মপ্রত্যয়ী এক কৃষকের ভাগ্যন্নোয়নের গল্প

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,কাপ্তাই (রাঙামাটি) ঃ কাপ্তাই উপজেলার শিলছড়ির কৃষক এনামুল হক বাচ্চু। কৃষি যার নেশা এবং পেশা। এইবার তিনি শিলছড়ির কর্নফুলি নদীর পূর্ব পাড়ে সীতার পাহাড় সংলগ্ন বাগানে পাহাড়ের ঢালুতে কালিপুরি ও চায়না লিচুর চাষ করে বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

আগামি এক মাসের মধ্যে তা বিক্রয় করে লক্ষাধিক টাকার আয় করবেন বলে তিনি জানান। সোমবার ( ১৯ এপ্রিল) সকালে এই প্রতিবেদক তাঁর বাগানে যায়, এইসময় কৃষক বাচ্চু তাঁর সফলতার গল্প শুনান।

তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের নিকট হতে পাওয়া সামাজিক বনায়নের প্রকল্পে তিনি পশুখাদ্য বাগানের পাশাপাশি ৪ একর পাহাড়ের ঢালুতে চাষ করেছেন কালি পুরি ও চায়না 2 ও 3 জাতের লিচু। পাশাপাশি আরো বিভিন্ন প্রজাতির সবজি ও ফল চাষ করেছেন তিনি। এই বাগানে প্রতিদিন স্ত্রী, ২ মেয়ে ১ ছেলে এবং আরো দু’জন শ্রমিক নিয়ে কর্ণফুলী নদী হতে বহু কষ্ট করে পানি তুলে এনে গাছ পরিচর্যা ও পানি দিয়ে থাকেন, একটু ভালো ফলনের আশায়।

সরেজমিন ঘুরে বাচ্চুর বাগানে দেখা যায়, বিভিন্ন মৌসুমি ফলের পাশাপাশি কালিপুরি লিচু ও চায়না 2 ও 3 লিচু গাছে ব্যাপক ফলন হয়েছে। দেখে চোখ জুড়ানোর মত। কৃষক বাচ্চু বলেন,আমার সংসারে অর্থের টানাপোড়ন ছিল। সংসার ও পরিবার-পরিজন চালাতে আমি হিমশিম খেতাম। সংসারকে সচল করার জন্য আমি ২০১২ সালে চট্রগ্রাম মোজাহের আয়ুর্বেদিক কলেজে আয়ুর্বেদিক বিষয়ে শর্ট কোচ করেছি। তাতেও আমার সংসার চলে না । পরে বন বিভাগের সহায়তায় সামাজিক বনায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ফসল করি। এ ফসলের পাশাপাশি কালিপুরি লিচু ও চায়না 2, 3 চাষ করি। আমার বাগানে সার ও পরিচর্যা করতে প্রায় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবার আমার বাগানে মাশাল্লাহ ভালো লিচু আসছে। আগামি ১৫/২০দিনের মধ্যে কালিপুরি লিচু ও একমাসের মধ্যে চায়না 2, 3 বিক্রয় করে লক্ষাধিক টাকা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি ।


কৃষক এনামুল হক বাচ্চু বলেন, সরকারের নিকট হতে উন্নতমানের স্প্রে মেশিন পেলে বাগানে পানি দিতে আর কষ্ট হবেনা । এছাড়া কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ হতে দিক নির্দেশনা এবং কৃষি ঋণ পেলে সামনে আরো এগিয়ে যেতে পারবো বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামসুল আলম চৌধুরী জানান, ব্যক্তি পর্যায়ে এই উদ্যোগ আমাদের কৃষিখাতকে আরোও চাঙা করবে, কৃষক বাচ্চু যদি আমাদের কাছে আবেদন করেন, তাহলে আমরা সরকারি নিয়মনীতি অনুসারে ৫০% ভতুর্কিতে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করবো এবং তাকে সকল প্রকার সহায়তা করবো।

Related Articles

Back to top button