Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলশীর্ষ সংবাদসারাদেশ

রামগড়ের প্রথম শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ জরুরী

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, রামগড় ,খাগড়াছড়ি : ১৯৬৮ সালে রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পার্বত্যাঞ্চলে সর্বপ্রথম শহীদ মিনারের মূল স্তম্ভ র্নিমিত হয়েছিল। তৎকালীন রামগড় মহকুমার অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট মংম্রাইহ্লাপ্রু চৌধুরীর সহায়তায় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। সময়ের দাবিতে প্রথম শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ জরুরী ।

জানা যায়, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টার তৎকালীন ১৯২০ সালের প্রাচীণ মহকুমা শহর রামগড় শত্রু মুক্ত হয় ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে এখানকার মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পুকুর পাড়ের শহীদ মিনারটি পুনর্নির্মাণ করা হয় এবং এটিই পার্বত্য জেলার সর্বপ্রথম শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটির ডিজাইন সংগ্রহ করেন রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন বিএসসি শিক্ষক এম আর খান। নির্মাণ কাজের মিস্ত্রি ছিলেন মরহুম আবদুর রউফ। স্থানীয় বিক্তশালীদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করে এ নির্মাণ কাজ চালানোর বিষয়ে ভূমিকা রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক মরহুম সুলতান আহমদ, মরহুম মুলকুতুর রহমান, প্রয়াত সুবোধ বিকাশ ত্রিপুরা, দুলাল চন্দ্র দে, কালা চাঁন দেব বর্মন, সমর চক্রবর্তী সহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ শহীদ মিনারটি পুনর্নির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

বর্তমানে প্রশাসনের উদ্যোগে রামগড়ে নতুন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের পর এটি শুধুমাত্র রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ভাষা শহীদদের স্বরণে এটির মর্যাদা শ্রদ্ধা ও রক্ষণা বেক্ষণের অভাবে স্মৃতি মুছে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে রামগড়ের সাবেক ইউএনও ইকবাল হোসেন এর সহযোগিতায় শহীদ মিনারটি সংস্কার করা হয়।

পার্বত্যাঞ্চলের স্মৃতিবিজড়িত প্রথম শহীদ মিনারটির মর্যাদা ও সংরক্ষণে সংশ্লিষ্টদের উদ্যেগ নেয়ার দাবী জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান খাজা নাজিম উদ্দিন ও জসিম চৌধুরী বলেন, এটি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরনার স্থান। এখানে রয়েছে বাংগালী জাতীস্বত্তার পরিচয়।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা শহীদদের স্বরণে পার্বত্যাঞ্চল রামগড়ে প্রথম শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী বলেন, এ ব্যাপারে অবগত হয়েছি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলাপ করে শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ ও আধুনিকায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Related Articles

Back to top button