Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলশীর্ষ সংবাদ

বৈসাবি উৎসব উদযাপনে ব্যস্ত পাহাড়বাসী

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,পানছড়ি, খাগড়াছড়ি : পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী উৎসবটিই বৈসাবি। করোনার লক ডাওনে আংশিক সমস্যা হলেও থেমে নেই উৎসবের আমেজ। কেনা কাটার শেষ দিনে পানছড়ি বাজারে হাজারো মানুষের মিলন মেলায় নববর্ষের আগমনি বার্তা প্রকাশ পায়।

বৈসাবির আগমনী বার্তা লগ্নেই বৈসাবি উদযাপনে পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে চলছে খুশির জোয়ার। উপজাতিয় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিঝু । সকল সম্প্রদায়ের উৎসবের অদ্ধাক্ষর ঐতিহ্যবাহী বৈ-সা-বি ( নববর্ষ )।

১২ এপ্রিল ২০২১ সোমবার চাকমা সম্প্রদায় নানারকম পাহাড়ী ফুলে ঘড় সাজিয়ে ,নদী-ছড়ায় ফুল ভাসিয়ে পুজোর মাধ্যমে ফুল বিঝু এবং ১৩ এপ্রিল বর্ষবরণ বিঝু পালন করবে। ১৩ এপ্রিল ত্রিপুরা সম্প্রদায় নানারকম পাহাড়ী ফুলে ঘড় সাজিয়ে ,নদী-ছড়ায় ফুল ভাসিয়ে পুজোর মাধ্যমে প্রধান উৎসব বৈসু পালন করবে। একই সাথে মারমা সম্প্রদায় ১৩ এপ্রিল সাংগ্রাই উৎযাপন করবে।

এই দিনে ঘরে ঘরে রান্না হয় বত্রিশ প্রকার সবজি আর সাথে থাকে তরমুজ ফল। কাঁঠালের মিশ্রণে মজাদার পাঁচন। পাঁচন রান্না করে ধর্মীয় গুরুদেও জন্য মন্দিরে পৌছে দেয় । সকলের জন্য মঙ্গল প্রার্থনা করে। এলাকার ছোট-বড় সকলকে ডেকে বাড়িকে পাচন খাওয়ানো হয়।

১৪ এপ্রিল ২০২১ বুধবার তৃতীয় দিনটি হলো গজ্জ্যেপজ্জ্যে। এই দিনটি বেশি আনন্দের। কেউ কেউ মজা করে কেউবা মন্দিরে গিয়ে ধর্মগুরুদের কাছে ধর্মদেশনা শুনে। তবে বৈসাবি-র প্রথম দিন থেকেই শিশু কিশোর-কিশোরীরা পাড়ায় পাড়ায় নেচে গেয়ে তুতীয় দিন পর্যন্ত পার করে।

পানছড়ি উপজেলা বৈসাবি উদযাপন কমিটির প্রধান শান্তি জীবন চাকমা বলেন, বাউরাপাড়াা অনুপম-হিমাংশু ভেনুতে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়ে জুম ঘর বা মেন ঘরসহ বিশালাকার মঞ্চ তৈরি করা হয়েঠে। কিন্তু করোনার লকডাউনের কারণে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করায় মঞ্চ আর মনের মতো জমে উঠবে না।

৬০ উর্দ্ধ বয়সী জোসি চাকমা জানায়, খুশির পরিবর্তে বইছে হতাশা। বিশ্ব মহামারী করোনার কারণে দেশে লকডাউন দেয়াতে নসতলে চাকরি করতে যাওয়া অনেকেই ছুটি নিয়ে বাড়ি আসতে পারে নাই।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বকুল চন্দ্র চাকমা জানান, পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী উৎসব বৈসাবি পালনের কার্যাদি প্রায় সম্পন্ন। সরকারি নির্দেশনাকে সম্মান জানিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত আকারে ধর্মীয় অনুষ্ঠানটা যথারীতি পালন করা হবে। অনুষ্ঠান ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও সবাই করােনার মহামারী থেকে মুক্তি পাক এটাই সকলের প্রার্থনা।

Related Articles

Back to top button