Uncategorized

পাহাড়ের কাঁচা সবজি হিসেবে কাঁচা কাঁঠালের চাহিদা প্রচুর

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,পানছড়ি, খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার বিভিন্ন বাজারের আগাম কাঁঠাল আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় অদিবাসীরা এসব কাঁঠালগুলোকে বারোমাসি কাঁঠাল বলে। এসব কাঁঠাল পাঁকা খাওয়ার জন্য পাওয়া মুসকিল। কারণ কাঁচাই এর চাহিদা প্রচুর। পাঁকানো হিসেবে বিক্রি হয় না। বিক্রি হয় কাঁচা অবস্থায়। সুস্বাদু বলে চড়া দামে বিক্রি হয়।

স্থানীয় অদিবাসী পাহাড়ি- বাঙ্গালিরা জানায়, বছরের নতুন তরকারী হিসেবে অনেকে আগ্রহ করে খায় বলে এসব কাঁঠালের চাহিদা খুবই বেশী। কাঁচা সবজি হিসেবে কাঁচা কাঁঠালের বাইরের অংশ ফেলে দিয়ে ভেতরের অংশ মাছের শুটকি দিয়ে রান্না করা হয়। আর খেতে খুবই সু-স্বাদু। গত মাস থেকে উপজেলার পানছড়ি বাজার, লোগাং বাজার, দুধুকছড়া বাজার, পূজগাং বাজারে এসব কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে।


কয়েক দিন আগে পূজগাং বাজারে বিক্রি করার জন্য ৬টি কাঁচা কাঁঠাল নিয়ে লোগাং ইউনিয়নের খেদারছড়া গ্রামের ৭০ বছরে বৃদ্ধা বুদেশ্বরী চাকমা। প্রতিটি কাঁঠাল আঙ্গুল দেখিয়ে তিনি বলেন, একক পরিবারে এক সন্ধ্যার তরকারী হবে। এ রকম ছোট কাঁঠালটি দাম বিক্রি করেছি ৪০ / ৫০ টাকায়, আর তার চেয়ে একটু বড় কাঁঠালটি বিক্রি করেছেন ৮০ টাকায়। এমনি ভাবে সবচেয়ে বড় কাঠালটি ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন। তার তথ্য মতে বাগানে ১৫-২০টি মতো কাঠাল গাছ আছে। এসব গাছ থেকে মাত্র একটি গাছেই ২৫-৩০ টি কাঁঠাল ধরেছে।


শ্যামল টুডু তিনি বলেন, বাজারে নতুন বছরে নতুন তরকারী হিসাবে কাঠাল খুবই প্রিয় সব্জি। খেতে খুব সু-স্বাদু। তাই বেশী দাম হলেও কিনে নিলাম।


মুক্তিযোদ্ধা আলী আহাম্মদ জানান,পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের লোকজনই কাচা কাঠালের সব্জি খেতে পছন্দ করে। চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যায়, দাম তুলনা মুলক অন্যান্য সব্জীর মত হলেও চৈত্র বৈশাখে কাচা কাঠালের চাহিদা ও দাম একটু বেশী থাকে
দিপক জ্যোতি চাকমা বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট আমার পরিবার। তাই ছোট কাঁঠালটি ৫০ টাকা দিয়ে কিনে নিলাম। কচি কাঁঠাল শুটকি দিয়ে খেতে খুব ভালো।


পানছড়ি উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুনাংকর চাকমা বলেন, স্থানীয় দেশী কাঁঠালের মধ্যে দুটি জাত রয়েছে। একটি বারোমাসি জাত অন্যটি নাবি জাতের। সারা বছর যেসব গাছে বেশী ফলন হয় সেগুলোকে বারোমাসি আর ফলন কম হওয়া জাতকে নাবি বলে। সারাদেশেই কাঠাল ফলন হয়। তবে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি বাঙ্গালী সকলেই কঁচি কাঠাল কে সব্জি হিসাবে ব্যবহার করায় এর চাহিদাও প্রচুর।

Related Articles

Back to top button